বাংলা ক – সেট 19 : ABTA HS টেস্ট পেপার সমাধান 2023-2024 (Bengali A Set-19 ABTA HS Test Paper Solution 2023-2024)
বাংলা ক – সেট 19 : ABTA HS টেস্ট পেপার সমাধান 2023-2024
XIX (Page No. – 243)
BENGALI (Group-A)
বহু বিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী
১। ঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো (যেকোনো আঠারোটি প্রশ্নের উত্তর দাও) (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) ১ × ১৮ = ১৮
(ⅰ) ‘উনি আমার পতিদেবতা।’- উনি হলেন-
- (ক) বুড়ো কর্তা
- (খ) ঠাকুর দেবতা
- (গ) বামুন ঠাকুর
- (ঘ) উমা পতি
উত্তর: Show
(ঘ) উমা পতি
(ii) “এক সময় দাগী ডাকাত ছিল” – (H.S. – 20, 16)
- (ক) ফজলু শেখ
- (খ) করিম ফরাজি
- (গ) নিবারণ বাগদি
- (ঘ) নকড়ি নাপিত
উত্তর: Show
(গ) নিবারণ বাগদি
(iii) ‘ফজর সময়’ – বলতে বোঝায়- (H.S. – 19)
- (ক) দুপুরে নমাজের সময়
- (খ) বিকেলের নমাজের
- (গ) সন্ধ্যায় নমাজের সময়
- (ঘ) ভোরের নমাজের সময়
উত্তর: Show
(ঘ) ভোরের নমাজের সময়
(iv) বাসিনী লুকিয়ে উৎসবকে কী খেতে দিয়েছিল? – (H.S. – 16)
- (ক) ভাত
- (খ) মাছ
- (গ) জল
- (ঘ) ছাতু
উত্তর: Show
(ঘ) ছাতু
(v) মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রীর ‘কেবলি মনে পড়ে…’ (H.S. – 16)
- (ক) স্বামীর কথা
- (খ) নিখিলের কথা
- (গ) ফুটপাথের লোকগুলোর কথা
- (ঘ) ছেলেমেয়েদের কথা
উত্তর: Show
(গ) ফুটপাথের লোকগুলোর কথা
(vi) “এখন যদি না থাকি” – ‘এখন’ বলতে বলা হয়েছে-
- (ক) খরার সময়
- (খ) দুর্ভিক্ষের সময়
- (গ) আনন্দ উৎসবের সময়
- (ঘ) মানুষের চরম বিপদের সময়
উত্তর: Show
(ঘ) মানুষের চরম বিপদের সময়
(vii) “অলস সূর্য এঁকে দেয়” – কী এঁকে দেয়? –
- (ক) সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস
- (খ) গলিত সোনা
- (গ) গোধূলি বেলা
- (ঘ) উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ
উত্তর: Show
(ঘ) উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ
(viii) ‘রোগা শালিকের হৃদয়ের বিবর্ণ ইচ্ছার মতো’- (H.S. – 15)
- (ক) আকাশের রং
- (খ) সূর্যের আলোর রং
- (গ) কবির হৃদয়ের রং
- (ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং
উত্তর: Show
(ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের রং
(ix) “সে কখনো করে না বঞ্চনা” – ‘সে’ বলতে বোঝানো হয়েছে- (H.S. – 20)
- (ক) কঠিনকে
- (খ) জীবনকে
- (গ) সত্যকে
- (ঘ) মৃত্যুকে
উত্তর: Show
(গ) সত্যকে
(x) শম্ভুবাবু কার লেখা ডায়ালগ বলে জানালা থেকে লাফ দিয়েছিলেন? –
- (ক) গিরিশ ঘোষ
- (খ) মন্মথ রায়
- (গ) তুলসী লাহিড়ী
- (ঘ) রবীন্দ্রনাথ
উত্তর: Show
(গ) তুলসী লাহিড়ী
অথবা, (xi) “পরদা খুললে দেখা যায়…” –
- (ক) মঞ্চ আলোকিত
- (খ) মঞ্চ সাজানো
- (গ) মঞ্চ অন্ধকার
- (ঘ) মঞ্চ সম্পূর্ণ ফাঁকা
উত্তর: Show
(ঘ) মঞ্চ সম্পূর্ণ ফাঁকা
(xii) ‘নানা রঙের দিন’ নাটকটি রচনার ক্ষেত্রে নাট্যকার কোন নাটকের দ্বারা প্রভাবিত হন –
- (ক) দ্য চেরি অর্চার্ড
- (খ) থ্রি পেনি অপেরা
- (গ) রুটস্
- (ঘ) দ্য সোয়ান সং
উত্তর: Show
(ঘ) দ্য সোয়ান সং
অথবা, (xiii) ‘লভসিন’-এ কোন্ বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার হয়েছিল – (H.S. – 20)
- (ক) বেহালা
- (খ) গীটার
- (গ) হারমোনিয়াম
- (ঘ) সেতার
উত্তর: Show
(গ) হারমোনিয়াম
(xiv) “আর একদিন তাকে মনে হয়েছিল” – (H.S. – 16)
- (ক) চাঁদের আলোর চেয়েও স্নিগ্ধ
- (খ) ভোরের আলোর চেয়েও সুন্দর
- (গ) গোধূলির আলোর চেয়েও মায়াবী
- (ঘ) মোমের আলোর চেয়েও পবিত্র
উত্তর: Show
(খ) ভোরের আলোর চেয়েও সুন্দর
অথবা, (xv) ‘Farewell the tranquil mind! farewell content!’ সংলাপটি কোন নাটকের? –
- (ক) ওথেলো
- (খ) জুলিয়াস সীজার
- (গ) ম্যাকবেথ
- (ঘ) নানা রঙের দিন
উত্তর: Show
(ক) ওথেলো
(xvi) উপকথার ‘আটলান্টিস’ হল একটি –
- (ক) শহর
- (খ) দ্বীপ
- (গ) উদ্যান
- (ঘ) জাহাজ
উত্তর: Show
(খ) দ্বীপ
অথবা, (xvii) বলী কান্ধারী হলেন একজন – (H.S. – 15)
- (ক) লেখক
- (খ) দরবেশ
- (গ) পীরবাবা
- (ঘ) মৌলবী সাহেব
উত্তর: Show
(খ) দরবেশ
(xviii) সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’-র সংগীত পরিচালক হলেন –
- (ক) রবিশংকর
- (খ) বিলায়েৎ খাঁ
- (গ) বিসমিল্লা খাঁ
- (ঘ) সত্যজিৎ রায়
উত্তর: Show
(ক) রবিশংকর
(xix) ‘ভারতমাতা’ ছবিটি এঁকেছেন-
- (ক) যামিনী রায়
- (খ) নন্দলাল বসু
- (গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- (ঘ) সোমনাথ হোড়
উত্তর: Show
(গ) অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর
(xx) আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কোন শিল্পে অবদানের জন্য উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী পরিচিতি লাভ করেছিলেন – (H.S. – 16)
- (ক) মুদ্রণ শিল্প
- (খ) পট শিল্প
- (গ) চিত্র শিল্প
- (ঘ) স্থাপত্য শিল্প
উত্তর: Show
(ক) মুদ্রণ শিল্প
(xxi) ‘Syntax’ শব্দটির বাংলা প্রতিশব্দ হল-
- (ক) রূপতত্ত্ব
- (খ) বাক্যতত্ত্ব
- (গ) শব্দতত্ত্ব
- (ঘ) ধ্বনিতত্ত্ব
উত্তর: Show
(খ) বাক্যতত্ত্ব
(xxii) যে অব্যয় শব্দের শুরুতে বসে তার অর্থ পরিবর্তন করে তাকে বলা হয়-
- (ক) বিভক্তি
- (খ) প্রত্যয়
- (গ) উপসর্গ
- (ঘ) অনুসর্গ
উত্তর: Show
(গ) উপসর্গ
সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী
২। অনধিক ২০টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়): ১ × ১২ = ১২
(i) “খেতে বসলে খেতে পারি না” – কে, কেন খেতে পারে না?
উত্তর: ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে’ গল্পের নায়ক মৃত্যুঞ্জয় খেতে বসেও খেতে পারেনা।
ফুটপাতে অনাহারে মৃত্যু দেখে সেই অনাহারী ফুটপাতবাসী মানুষের ভালো কিছু করতে না পারার অসহায়তায় তার আর খাওয়া হয়ে ওঠেনা।
(ii) “তাই লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে” – লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে যখন চাষীদের ধান কাটা হয়নি, অথচ পৌষালী অকাল দুর্যোগ এসে পড়ায় চাষীদের পাকা ধানে মই পড়ে। ফলে তাদের মেজাজ বিগড়ে যায়।
(iii) “আমি তা পারি না” – বক্তা কী পারেন না? (H.S. – 16)
উত্তর: বক্তা অর্থাৎ কবি মৃদুল দাশগুপ্ত সমসাময়িক সমাজ রাজনীতির বিপন্নতায় কেবলমাত্র আকাশের দিকে তাকিয়ে বিধির বিচার চাইতে পারেন না।
(iv) “মৃত্যুতে সকল দেনা শোধ করে দিতে।” ‘মৃত্যুতে সকল দেনা’ কীভাবে শোধ করা সম্ভব বলে কবি মনে করেছেন?
উত্তর: জীবন সায়াহ্নে উপনীত কবি মৃত্যুর হাতে নিজেকে নিশ্চিন্তে সমর্পণ করতে চান। এভাবেই কবি জীবনের যাবতীয় দেনার দায় পরিশোধ করে দিতে চান।
(v) “অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে” – এখানে কার বেরিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের ‘শিকার’ কবিতায় ভোরের সোনালী আলো অন্ধকারের হিম কুঞ্চিত জরায়ু ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে।
(vi) “আমার দরকার শুধু গাছ দেখা।” – কবির গাছ দেখা দরকার কেন?
উত্তর: সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে অরণ্যচারী মানুষ আধুনিক হয়েছে ঠিকই কিন্তু নগরায়নের ফলে অরণ্য হয়েছে ধ্বংস। মানুষের জীবন থেকে সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে। আর তাই কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের গাছের সান্নিধ্য পাওয়া দরকার বলে মনে হয়েছে।
(vii) “শোভাযাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজ শোনা যায়।” – শোভাযাত্রীদের ক্ষীণ আওয়াজে কী শোনা যাচ্ছিল?
উত্তর: ‘বিভাব’ নাটকের শোভা যাত্রীরা দূর থেকে চাল চাই, কাপড় চাই স্লোগান দিতে দিতে আসছিল বলে ক্ষীণ আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল।
অথবা, “বড়ো ভয়ংকর এ যোগ।” – এখানে কোন যোগের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ঔরঙ্গজীব সিংহাসনের জন্য নিজের পিতা কে বন্দি ও ভাইদের হত্যা করেছেন। কিন্তু আজ একদিকে শাহনাওয়াজ আর যশোবন্ত সিংহ অপরদিকে তার ছেলে মহাম্মদের মনেও সন্দেহের বিষবাষ্প এই যুগপৎ সমস্যাকে ভয়ংকর যোগ বলে উল্লেখ করেছেন।
(viii) “যখনই এইসব কথা ভাবি, তখনই ভয়ে যেন বুকের ভিতরটা হিম হয়ে আসে” -কোন কথা ভেবে বক্তার মনের এরূপ অবস্থা হয়?
উত্তর: ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র রজনী চ্যাটার্জীর স্ত্রী-ছেলেমেয়ে কেউ নেই। বয়স বাড়ছে, সঙ্গীহীন বাড়িতে মরে পড়ে থাকলেও মুখে দু ফোঁটা জল দেওয়ার কেউ মত কেউ নেই; আর এ কথা ভাবলেই তাঁর বুকের ভেতরটা হিম হয়ে আসে।
অথবা, “দর্শকরা কিছু মনে করেন না।” – কোন বিষয় সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে?
উত্তর: বিভাব নাটকের কাল্পনিক তরবারির কাল্পনিক খোঁচা খেয়ে মানুষটি মরে গেলে তার বিধবা স্ত্রী স্টেজে এসে রৈ-রাই করে কাঁদতে শুরু করলে মৃত লোকটা উঠে পুটপুট করে চলে গেলে দর্শকরা কিছু মনে করে না। কারণ তাদের কাছে বিধবা স্ত্রীর দুঃখটাই প্রধান।
(ix) “পাতায় পাতায় জয়” – কাদের জয়ের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: অতীতে ঘটে যাওয়া অসংখ্য যুদ্ধ জয়ের কাহিনী ইতিহাসের পাতায় রাজার কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে যায়। কিন্তু কোন রাজার একার পক্ষে এই জয় সম্ভব নয়, তাই এই জয় রাজ্যবাসি অর্থাৎ সাধারণ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষেরই জয়।
অথবা, “গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়লেন।” – কখন তিনি দুশ্চিন্তায় পড়েছিলেন?
উত্তর: হাসান আব্দালের জঙ্গলে শীষ্য মর্দানার তৃষ্ণা পেলে গুরু নানক চিন্তিত হয়ে পড়েন, কারণ কাছে-পিঠে তেষ্টা মেটানোর মত কোন জলের উৎস ছিল না।
(x) ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় কী?
উত্তর: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাষার যে বিবর্তন হয় এবং সেই বিবর্তনের ফলে যে যে পরিবর্তন ভাষার সংগঠনে দেখা যায় তা নির্দেশ করা ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের কাজ। তাছাড়া প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষা কিভাবে বিভিন্ন স্তর যেমন – পালি, প্রাকৃত, অপভ্রংশ, অবহট্টর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার জন্ম দিয়েছে তা মূলত ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়।
(xi) জোড়কলম শব্দ কাকে বলে?
উত্তর: একাধিক রূপমূলের সমন্বয়ে যখন নতুন একটি শব্দ নির্মিত হয় তখন তাকে জোড়কলম রুপ বা জোড়কলম শব্দ বলে।
যেমন – ধোঁয়া + কুয়াশা > ধোঁয়াশা। অন্যভাবে বলা যায়; একটি শব্দ বা শব্দাংশ জুড়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করা হয়, তখন তাকে জোড় কলম শব্দ বলে। যেমন আরবি ‘মিন্নৎ’ – শব্দের প্রথমাংশ এবং সংস্কৃত ‘বিজ্ঞপ্তি-শব্দের শেষাংশ জুড়ে তৈরি হয়েছে জোড় কলম শব্দ ‘মিনতি’। একই রকম:
- অরি + বৈরিতা >ঐরিতা।
- হাঁস + সজারু > হাঁসজারু।
- নিশ্চল+ চুপ > নিশ্চুপ।
- জেদি + তেজাল > জেদাল।
- Smoke + Fog >Smog.
(xii) ‘কালি’ শব্দটির আদি ও পরিবর্তিত অর্থ লিখে পরিবর্তনের ধারাটি উল্লেখ করো।
উত্তর: ‘কালি’ শব্দের আদি অর্থ ছিল ‘কালো রঙের তরল বস্তু’ কিন্তু সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে লাল নীল সবুজ নানা রঙের কালিকে বোঝায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে শব্দার্থের প্রসার ঘটেছ।